শিল্প সচিব জাকিয়া দম্পতিকে গ্রেফতারের দাবি জুলাই আগস্ট কমান্ড কাউন্সিলের

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা ও তার স্বামী পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলামকে চাকুরীঢূত করে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছে জুলাই আগস্ট গণ বিপ্লব কমান্ড কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের প্যাডে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয় জাকিয়া সুলতানা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে সিনিয়র সচিবের প্রমোশন নিয়ে দীর্ঘদিন শিল্প মন্ত্রণালয় দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন। অপরদিকে তার স্বামী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ হেডকোয়াটারের অপারেশনাল প্রধান হিসেবে গণহত্যার নির্দেশ বাস্তবায়নকারী। তাদেরকে এখনো বরখাস্ত গ্রেপ্তার না করে বহাল রাকায় সরকারের আওয়ামী দুর্বৃত্বের পুর্নবাসন প্রকল্প ই মনে হচ্ছে।
বিবৃতি বলা হয় ড. জাকিয়া সুলতানা (৫৬২১) সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিএস (প্রশাসন) ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তার স্বামী মোঃ আতিকুল ইসলাম অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ দোসর ছাত্র-জনতা হত্যার ইন্ধন দাতা, ঘুষ-দুর্নীতির মহারাজ। মোঃ আতিককে ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সমঅপরাধে দোষী জাকিয়া সুলতানা প্রচন্ড প্রতাপে এখনো শিল্প মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। জানা যায় আতিকের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা এখনো ভারতে পালিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে। জাকিয়া-আতিক দম্পতি দুর্নীতির রাজকীয় জুটি। উভয়ে গুম-খুনসহ নানা প্রকার বেআইনি কাজের সম্পৃক্ত। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে এরা উভয়ই ছাত্র-জনতা হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।
জাকিয়া সুলতানা স্বৈরাচারী হাসিনার নির্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে সার সংকট সৃষ্টি করার আয়োজন করেছে। সার আমদানিতে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ক্রয় প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটিয়ে সরকারের ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। উদ্দেশ্য অন্তবর্তী সরকারকে বিব্রত করার মাধ্যমে জনগণের সাথে সরকারের বিরোধ সৃষ্টি করা। জাকিয়া সুলতানা কখনও মাঠ পর্যায়ে চাকরি করেনি। প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে কাজ না করা অস্বাভাবিক বিষয়। তার কখনো ঢাকার বাইরে পোস্টিং হয়নি। প্রশাসন-পুলিশ দম্পতি পরস্পর এক অপরের সম্পূরক। দুর্নীতিতে তারা প্রতিযোগিতা দিয়ে প্রত্যেক কর্মস্থলে অবৈধ আয় করেছে। প্রত্যেকেই আয়কর নথিতে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি শশুর-শাশুড়ির নিকট থেকে প্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। জাকিয়া সুলতানা সচিব পদে পদোন্নতির জন্য ১০ কোটি টাকা লগ্নি করেছে মর্মে পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত খবরে জানা যায়। জাকিয়া সুলতানা তার অধীনস্থ সংস্থার পদ অবৈধভাবে দখল করে মাসিক ভাতা হিসেবে ৪ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্পে পিডি নিয়োগ করেছে ৩০/৫০ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে। জাকিয়া সুলতানা শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থাকে দুর্নীতির উর্বর ক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে। আতিক-জাকিয়া দম্পতির ঢাকায় অন্তত এক ডজন ফ্ল্যাট ও গাজীপুরে প্রায় ২৫০ বিঘা জমি আছে।
কি কারণে বা কার কোন স্বার্থ রক্ষার জন্য দুর্নীতির মহারানী কে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে? কেন জাকিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন নিশ্চুপ? কেন সরকার জাকিয়া সুলতানাকে এখনো চাকরি হতে বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় আনেনি জনগণ তা জানতে চায় বলে দাবি করেছে জুলা আগস্ট গণ বিপ্লব কমান্ড কাউন্সিল।
নেতৃবৃন্দ সরকারের এমন নিষ্ক্রিয়তার তীব্র প্রতিবাদ করে এবং জাকিয়া সুলতানাকে অবিলম্বে অবিলম্বে বরখাস্তের দাবি জানাই। একই সঙ্গে মোঃ আতিকুল ইসলাম-জাকিয়া সুলতানা দম্পতিকে গ্রেফতারপূর্বক ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।