বসত ঘরে হামলা
থানায় অভিযোগের ৪দিন পরও কোন খোজ নেয়নি পুলিশ,

ছবিঃ সংগৃহীত
ব্যাক্তি মালিকানাধীন জায়গা দিয়ে চলাচল নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে নাসিরনগর উপজেলার মাছমা গ্রামে প্রতিবেশী কতৃক প্রকাশ্য সালিশে শারীরিক ভাবে প্রহৃত এবং নিজ বসত ঘরেই বারবার আক্রমনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন আবুল হোসেন নামের এক ব্যাক্তি । এমনকি নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেও পাননি কোন প্রতিকার, অভিযোগ গ্রহনের ৪দিন অতিক্রান্ত হলেও কোন খোজ নেয়নি পুলিশ । এরই মধ্যে আরও ২দফা নিজ ঘরেই আক্রমনের শিকার হয়েছেন ভোক্তভোগী ও তার পরিবার ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আবুল হোসেনের মালিকানাধীন একটি জায়গা দিয়ে চলাচল সংক্রান্ত বিষযে প্রতিবেশী তৌহিদ মিয়ার পরিবারের সাথে বেশ কিছুদিন যাবত বিবাদ চলে আসছিল আবুল হোসেন ও তার পরিবারের ।তৌহিদ মিয়ার ছেলে আলামিন, হোসেন মিয়া, হাসান মিয়া, রকিব মিয়া প্রায়ই হুমকি দিত আবুল হোসেনকে ।মাঝে মাঝেই বাকবিতন্ডা হতো দুই পরিবারের মাঝে । বিরোধটি নিস্পত্তির জন্য গত ৪ এপ্রিল আবুল হেসেনের বাড়িতে মহল্লার সর্দার- মাতব্বরগন সালিশে বসেন উভয় পক্ষকে নিয়ে। সালিশ চলাকালীন সময়েই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তৌহিদ মিয়ার ছেলেরা (আলামিন, হোসেন মিয়া, হাসান মিয়া, রকিব মিয়া) আক্রমণ শুরু করে আবুল হোসেন ও তার পরিবারের উপর, কিল-ঘুষি মারিয়া থেতলা করে ফেলে আবুল হেসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থান। গত ০৬ এপ্রিল ( শুক্রবার) বিকাল ৩.৩০ সময়ে আবুল হোসেন বাদী হয়ে নাসিরনগর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে করেন। কিন্তু ১০ এপ্রিল পযন্ত থানা পুলিশের কাছ থেকে কোন সহায়তা পাননি আবুল হোসেনের পরিবার। ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাসিরনগরে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকগন সরেজমিনে পরিদর্শনে যায় ঘটনাস্থল । সব শুনে জানার জন্য মোবাইল করা হয় নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ খাইরুল আলম’কে । কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য তিনি রিসিভ করেননি কোন সাংবাদিকের কল। ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী চাতলপাড় ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি নাসিরনগর থানা থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগটি আমার হাতে আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযোগকারী আবুল হাসান ”দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা”কে বলেন, বিবাদীগণ আমাকে মারপিট করা এবং আমার বিবাহযোগ্য বোনদের ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছে। যার জন্য আমি এবং আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
ঘটনার বিষয়ে সালিশকারক মো:বুলবুল মিয়া জানান, সালিশের মধ্যে এরা ঘটনা খারাপই করছে, আমাদের সামনেই গিয়ে আবুল হোসেনকে কিল ঘুষি মেরেছে এরা উশৃংখল মানুষ।তবে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জানা যায় ১০ তারিখ সাংবাদিকরা পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে খোজ খবর নেয়ায এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ১১ এপ্রিল সকালে চাতলপাড় ফাড়ির একজন এসআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । কিন্তু এরই মাঝে কেটে গেছে পুরো ৪টি দিন।