চার দিন ধরে বন্ধ ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার উৎপাদন

Sadek Ali
আশিকুর রহমান, নরসিংদী
প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ন, ০২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:১০ পূর্বাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চার দিন ধরে বন্ধ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা।

এবিষয়ে সার কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) আতিকুর রহমান খান জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে  কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও জানান, বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। গত অর্থবছর এ কারখানা থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন। এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ধারন ক্ষমতা রয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন। এদিকে সার কারখানার একটি সূত্র থেকে জানা যায়, ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে কারখানার হঠাৎ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় দৈনিক ২ হাজার ৮শ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সার কারখানাটি। সার উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ধান ও শাকসবজির ভরা মৌসুমে সার সংকটের আশা করছেন কৃষকসহ সচেতন মহল। এশিয়ার সর্ববৃহৎ এই কারখানাটি স্থাপনের পর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। ফলে কারখানাটি থেকে বার্ষিক ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের ধারন ক্ষমতা রয়েছে। 

আরও পড়ুন: শিক্ষকরা কেবল পাঠদান নয়, ভবিষ্যৎ নির্মাণেও ভূমিকা রাখেন: ডুয়েট উপাচার্য

সার কারখানার জিএম (কারিগরি) সরফরাজ খান জানান, কারখানাটির উৎপাদন গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে কারখানায় আর কোন ইউরিয়া সার পণ্য উৎপাদন হচ্ছে না। কি কারণে কারখানায় এর ত্রুটি দেখা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে কারখানাটি বন্ধের কারণ ও প্রস্তাবনা দিতে বলা হয়েছে।

কারখানার জিএম (প্রশাসন) মোঃ ফখরুল আলম জানান, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই ইউরিয়া সার কারখানায় গত অর্থবছরে আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও অতিরিক্ত সার উৎপাদন করেছে। তিনি আরও জানান গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। আর কারখানা উৎপাদনের লক্ষে ইতিমধ্যে স্টারটাপে দেওয়া হয়েছে আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই আবার উৎপাদন শুরু হবে। এর জন্য যে কতদিন উৎপাদন বন্ধ থাকবে তার জন্য খুব বেশি সার সংকট হবে না বলে আশা করা যায়। কারণ কারখানা থেকে উৎপাদিত বস্তা এবং খোলা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে সার গুদামে রয়েছে।

আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ'লীগ নেতার বোনের বাড়িতে ২৩ তাজা ককটেল উদ্ধার, ভাগ্নিজামাই আটক