গাজীপুর-৪ আসনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন
কাপাসিয়া, গাজীপুর-৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু) আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কাপাসিয়া-গাজীপুর-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত, দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অন্যায়, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক কাপাসিয়া গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কীর্তনিয়া গ্রামের ফকির বাড়ির কৃতি সন্তান, জনাব সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ১৯৬২ সালের ১১ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন।
ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু) বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘসময় ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি সদস্য, আহ্বায়ক কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গাজীপুর জেলা; সিনিয়র সহ-সভাপতি, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপি; সাবেক সভাপতি, বারিষাব ইউনিয়ন বিএনপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি বারিষাব ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে, ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সভাপতি হিসেবে, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে এবং ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত পুনরায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২৫ সালের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি, গাজীপুর জেলা সদস্য হিসেবেও আছেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা কেবল পাঠদান নয়, ভবিষ্যৎ নির্মাণেও ভূমিকা রাখেন: ডুয়েট উপাচার্য
ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু) বলেন, তিনি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁর নেতৃত্বে কাপাসিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বিদ্যালয়, বিদ্যুৎ সংযোগ, গ্যাস, কাপাসিয়া কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খাল খননসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করবেন। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি বহুবার রাজনৈতিক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কখনোই নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দায়িত্ব ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম থেকে পিছু হটেননি। তিনি দলের নেতাকর্মীদের পাশে মানবিক সহানুভূতি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাদের চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ ওয়ান-ইলেভেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। সে সময়ে তিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। হামলা-মামলা ও নির্যাতন তাঁকে কখনোই দমিয়ে রাখতে পারেনি; বরং প্রতিকূলতা তাঁকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আরও দৃঢ় আত্মনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ'লীগ নেতার বোনের বাড়িতে ২৩ তাজা ককটেল উদ্ধার, ভাগ্নিজামাই আটক
ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন বলেন, তাঁর প্রেরণা ও রাজনৈতিক দীক্ষা শুরু হয় নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন, ১৯৮০ সালে। জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কাপাসিয়ার টেক এলাকায় খাল খননের কর্মসূচিতে হেলিকপ্টার যোগে এসেছিলেন, এবং ভাগ্যক্রমে তিনি সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্টের সাথে হাত মেলানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। এটি তাঁকে বিএনপির আদর্শ ও শহীদ প্রেসিডেন্টের জীবনাদর্শ ধারণ করে রাজনৈতিক জীবনে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি মনে করেন, বিএনপির জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড তাঁকে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে আধুনিক কাপাসিয়া পুনর্গঠন এবং কাপাসিয়ার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চান। ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু) উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের বলেন, “কাপাসিয়ার আপামর জনগণের কল্যাণই আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি আধুনিক, উন্নত কাপাসিয়া গঠনই হবে আমার সর্বোচ্চ অঙ্গীকার।”
কাপাসিয়া গাজীপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু) কে একজন যোগ্য ক্লিন ইমেজ প্রার্থী হিসেবে মনে করেন সাধারণ ভোটার ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাপাসিয়া গাজীপুর-৪ আসনটি বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচনী মাঠে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফ.ম. মমতাজ উদ্দিন (রেনু)। জনমত যাচাই-বাছাই করে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক প্রদানের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ হাইকমান্ডের দৃষ্টি কামনা করেছেন ক্লিন ইমেজের সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।





