ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ১৩
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল ড্রোন হামলা চালিয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এতে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছে। আহতদের আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামাস এই হামলাকে বর্বর আগ্রাসন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা হামলার মাধ্যমে শিবিরে অবস্থানরত হামাস সদস্যদের লক্ষ্য করেছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিখাই আদ্রেয়ি বলেন, “উত্তর সীমান্তে কোনো ধরনের হুমকি আমরা বরদাস্ত করব না। দক্ষিণ লেবাননে হামাসের যে কোনো কার্যক্রমকে আমরা প্রতিহত করব।”
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
শরণার্থী শিবিরে হামলার সময় একটি মসজিদের পার্কিং লটে থাকা গাড়িকে লক্ষ্য করা হয়েছে। হামাস দাবি করছে, শিবিরে তাদের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেই এবং এটি নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণ ও লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপর বর্বর আগ্রাসন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল লেবাননে বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সংগঠনের নেতাদের লক্ষ্য করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। লেবাননে এখন পর্যন্ত এই ধরনের হামলায় ২৭০-এর বেশি নিহত এবং প্রায় ৮৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় শিগগিরই স্থল হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক বিশ্লেষক করিম এমিল বিতার জানান, ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, ইসরায়েলের দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, কিন্তু তারা তা মানেনি।
ইসরায়েলি হামলার মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও জটিল ও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
সূত্র: আল জাজিরা





