গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, নিজ এলাকায় ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

Sanchoy Biswas
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ন, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:০৫ অপরাহ্ন, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ দুপুর থেকে যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত সেনাদের সরিয়ে নির্ধারিত সীমানায় নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে গাজার দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের উত্তরের দিকে ফেরার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদনের পরই এ ঘোষণা আসে। যদিও তাৎক্ষণিক হুমকি মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনারা সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা

চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উভয় পক্ষ জিম্মি ও বন্দিদের মুক্তি দেবে। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আগামী সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে জীবিত থাকা ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় থেকেই এই ৭২ ঘণ্টার ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আবিচায় আদ্রায়ে বলেছেন, দক্ষিণ গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রধান সড়ক ধরে উত্তরের দিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গাজার কিছু এলাকায় সেনারা এখনও সক্রিয় থাকবে—যেগুলো ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত। সেসব এলাকায় এখনো প্রবেশের অনুমতি নেই।

আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছেন ড. জাকির নায়েক

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সৈন্য ও সাঁজোয়া যানগুলো গাজা সিটি এবং খান ইউনিস থেকে সরে যাচ্ছে। ফলে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিজ এলাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

গাজায় অবস্থানরত এএফপির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গাজার উপকূলীয় সড়ক ধরে অসংখ্য মানুষ হাঁটছেন, অনেকে পরিবারের সঙ্গে ফিরছেন ভেঙে পড়া ঘরের দিকে। খান ইউনিসের বাসিন্দা আমীর আবু (৩২) বলেন,

“শোক নিয়েই আমরা ফিরছি। সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে, তবুও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া—অন্তত যুদ্ধ থেমেছে, পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে।”