গাজায় ৭ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ, রয়ে গেছে ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ হামলায় জমে উঠেছে প্রায় ৭ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ। এর ভেতরেই লুকিয়ে আছে অন্তত ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র, যা এখন গাজার মানুষের জন্য নতুন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরও পড়ুন: ভেনিজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদন, স্থল হামলারও ইঙ্গিত ট্রাম্পের

মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই বিপুল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাজার হাজার বাড়িঘর, হাসপাতাল, সেবা প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এইসব স্থাপনা ধ্বংস করেছে, যার ফলে গাজা এখন পরিবেশগত ও কাঠামোগতভাবে বিধ্বস্ত এক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ধ্বংসস্তূপ অপসারণ কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখার কারণে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধারের সরঞ্জামও আনা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: গাজায় অভিযান পুনরায় শুরু করবে ইসরায়েল: ট্রাম্প

গাজার প্রশাসন ইসরায়েলকে সীমান্ত ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করা যায়। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, এই বিপুল ধ্বংসাবশেষ সরাতে বিশেষায়িত প্রকৌশল ও সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

এ ছাড়া ইসরায়েলি অবরোধ ও খাদ্য সংকটের কারণে দুর্ভিক্ষে শত শত মানুষ মারা গেছেন। এমনকি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যাতে আরও বহু প্রাণহানি ঘটেছে।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।