ফিলিপাইনের পর ভিয়েতনামে আঘাত হানল ঘূর্ণিঝড় কালমেগি, ব্যাপক সতর্কতা জারি
ফিলিপাইনে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি ঘটানোর পর এবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় কালমেগি। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে এটি ভিয়েতনামের উপকূলে প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির সবচেয়ে তীব্র প্রভাব পড়েছে গিয়া লাই প্রদেশে। ঝড়ো বাতাস ও অতি বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে এবং ছয়টি বিমানবন্দর অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত সফরের ইঙ্গিত, মোদিকে ‘মহান ব্যক্তি’ বললেন ট্রাম্প
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া এই টাইফুন মোকাবিলায় উদ্ধারকাজে দুই লাখ ৬০ হাজার সেনা সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ির ছাদ উড়ে যাওয়া, হোটেলের কাচ ভেঙে যাওয়া ও গাছ উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার খবর জানা গেছে।
এর আগে টানা ভারি বৃষ্টি এবং বন্যায় বিপর্যস্ত ছিল ভিয়েতনাম। এরমধ্যেই এ বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড়গুলোর একটি কালমেগি সেখানে নতুন করে দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: লেবাননের চার শহরে ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলা, বেইরুতের তীব্র নিন্দা
ভিয়েতনামের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, ঝড়টি বর্তমানে দাক লাক এবং গিয়া লাই প্রদেশের ওপর সক্রিয়। জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগ সতর্ক করে জানিয়েছে, অন্তত সাতটি শহরের বাসিন্দারা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
টাইফুনের প্রভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায় ২৬ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ব্যুরো।
ঝড়ের আঘাত অনুভূত হওয়ার মাত্র ৩০ মিনিট পর থেকেই দাক লাক প্রদেশের বাসিন্দারা সহায়তার জন্য আহ্বান জানাতে শুরু করে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এদিকে, সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে সরকার আগেই জরুরি প্রস্তুতি নেয়। বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিনভর সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি





