দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ১১ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায় এবং সেগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, লাল কেল্লার কাছে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। আহতদের পাশের লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ (এলএনজেপি) হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে আটজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
বিস্ফোরণ স্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে এবং একটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আরেকটি গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনও ভেঙে গেছে।
আরও পড়ুন: বিবিসির মহাপরিচালকসহ দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ
নয়াদিল্লির ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লাল কেল্লার মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরপরই দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছে। অন্তত ২০টি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে এবং ওই এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দ এত তীব্র ছিল যে আশপাশের ভবনের জানালা কেঁপে উঠেছে এবং আগুনের বিশাল গোলা দেখা গেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমি গুরদুয়ারায় ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ শুনি। বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ এত তীব্র ছিল যে কী ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যাচ্ছিল না।’’
এদিকে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের দিনই হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদে একটি ভাড়া বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামার বাসিন্দা ডা. মুজাম্মিল শাকিল ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেশটির একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত কয়েক দিনে হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মির পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে ২,৯০০ কিলোগ্রামেরও বেশি বোমা তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযান গত ১৫ দিন ধরে চলছিল বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ।
