‘১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলে ‘

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, ১৯৭১ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা শুনে আমি মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলাম৷ সেই থেকে আমি জিয়াউর রহমানের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার দুপুরে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় র্যালীটি লক্ষাধিক লোকের সমাগমে ভূলতা ফ্লাইওভার হয়ে বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
আরও পড়ুন: উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলনে সহিংসতা, নিহত ১
এ সময় তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। দেশে বারবার গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে। এখন দেশে গণতন্ত্র সংকটাপন্ন। স্বাধীনতার পরে দেশ কখনো এমন সংকটে পড়েনি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার দেশ নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের মানুষের প্রতিটি সংকটে খালেদা জিয়া তাদের পাশে থেকেছেন৷ আগামী দিনে তারেক রহমান এদেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন। তিনি জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত কাজ ও খালেদা জিয়া যে সকল কাজগুলো করতে গিয়ে সফল হননি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন সেসকল কাজ তারেক রহমান সম্পন্ন করবেন। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর নিষ্ঠুর মামলার শিকার হতে হয়েছে রূপগঞ্জের অনেক মানুষকে। এইসব মামলার শিকার আমাকেও হতে হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, যুবদল নেতা আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম ইমন, যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন, যুবদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, ছাত্রদল নেতা সুলতান মাহমুদ, তারাব পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মতিন ভূইয়া, ওলামা দলের আহ্বায়ক পনির ভূইয়া, যুবদল নেতা মামুনসহ আরো অনেকে।