ইসরায়েলের হামলার জবাবে হুতিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, হামলায় এখন পর্যন্ত কেউ আহত হওয়ার খবর তাদের কাছে নেই। ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর জেরুজালেমের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে এটজিওন ব্লক এবং হেবরন এলাকার কয়েকটি বসতিতে সাইরেন বেজে ওঠে।
আরও পড়ুন: আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ‘মূল কারণ দূর করতে হবে’
এর আগে, ইসরায়েলি বাহিনী ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়। হুতি নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানায়, এসব হামলার আগে ইসরায়েল হোদাইদা অঞ্চলের তিনটি বন্দর থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার সতর্কবার্তা দেয়।
এদিকে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে। রবিবার (৬ জুলাই) এক ঘোষণায় ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, তেল আবিবের উপকণ্ঠে অবস্থিত ইসরায়েলের ব্যস্ততম বিমানবন্দর বেন গুরিওনে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে ৩০ বছরের কারাদণ্ড
তিনি দাবি করেন, হামলাটি ‘সম্পূর্ণরূপে সফল’ এবং এর ফলে বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় চলমান আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ উত্তেজনায় মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিচ্ছে।