জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল আর হামলা চালাবে না, নিশ্চয়তা দিলেন ট্রাম্প

ফিলিস্তিনের গাজায় আটক সব জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই নিশ্চয়তা দেন তিনি।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গাজা থেকে সব বন্দি মুক্তি পাওয়ার পর ইসরায়েল আবার যুদ্ধ শুরু করবে না— এ বিষয়ে আরব অংশীদারদের নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কি না। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “প্রাথমিক নিশ্চয়তা হলো— যদি এই চুক্তি সম্পন্ন হয়, আর বর্তমানে আলোচনাও চলছে, তাহলে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করব। আমাদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে, এবং আমরা তা প্রয়োগ করব যেন সবাই চুক্তি মেনে চলে।”
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
আলজাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাকে কূটনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান বহুদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন মানবাধিকারকর্মীরা। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওয়ার কস্ট প্রজেক্ট’-এর হিসাব অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বাবদ প্রায় ২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গাজা শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে মিশরে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, শুধু গাজা নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।”
আরও পড়ুন: গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের শার্ম আল-শেখ শহরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রথম দফার শান্তি আলোচনা ‘ইতিবাচক পরিবেশে’ শেষ হয়। মিশরীয় গণমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরা জানায়, আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে ইসরায়েল সম্মতি জানিয়েছে, হামাসও কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছে, তবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়েছে।