লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত
টাইফুন কালমেগির তাণ্ডব: ফিলিপাইনে মৃত্যু ২৬
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে টাইফুন কালমেগি’র আঘাতে ভয়াবহ বন্যা ও ঝোড়ো বাতাসে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ (ওসিডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার মধ্যরাতে শক্তিশালী টাইফুনটি উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর বেশ কয়েকটি প্রদেশ প্লাবিত হয়। অনেক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গা ও ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। বন্যার স্রোতে রাস্তায় থাকা গাড়ি ভেসে যায় এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি
ঝড়ের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেবু অঞ্চলে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসিডির উপ-প্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো। তিনি জানান, অধিকাংশ মানুষ ডুবে মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ টাইফুনটি সেবু, নেগ্রোস এবং পানে দ্বীপ অতিক্রম করছিল। তখন ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল, গাছপালা উপড়ে পড়ছিল এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাচ্ছিল।
সেবুর গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, আমরা প্রবল বাতাসে ক্ষতি হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটিয়েছে পানি। বন্যায় সৃষ্ট ধ্বংস নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন: নতুন পারমাণবিক চালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে রাশিয়া: পুতিন
দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকর্মীরা এখনো পানিবন্দি অনেক বাসিন্দার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পানির উচ্চতা এত দ্রুত বেড়েছিল যে রাতে অনেকেই ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা বাড়ছে, যা টাইফুনকে আরও শক্তিশালী ও আকস্মিকভাবে তীব্র করে তুলছে। ফলে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে অতিমাত্রায়।
এদিকে, ত্রাণ সহায়তায় যাওয়ার পথে উত্তর মিন্দানাও অঞ্চলে একটি সামরিক সুপার হিউই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ঘটনাস্থলে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ জীবিত আছেন কি না তা নিশ্চিত করা যায়নি।





