সিরিয়াকে সফল করতে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
সিরিয়াকে ‘সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে’ যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১০ নভেম্বর)) ওয়াশিংটনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
দুই নেতার মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করতে যা যা পারি সব করব। শারা একজন শক্তিশালী নেতা, এবং আমি মনে করি তিনি তার দেশকে বদলে দিতে পারবেন।”
‘কঠিন পটভূমি থেকে উঠে আসা দৃঢ় নেতা’
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় শিগগিরই স্থল হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি কঠিন জায়গা থেকে এসেছেন, কঠিন মানুষ। আমি তাঁকে পছন্দ করি। সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক হয়েছে।
ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, সিরিয়া ইস্যুতে শিগগিরই আরও কিছু ‘বড় ঘোষণা’ আসতে পারে। তবে বিস্তারিত জানাননি। তিনি বলেন, আমরা চাই সিরিয়া সফল হোক। আমি বিশ্বাস করি, এই নেতা তা করতে পারবেন।
তিনি আরও যোগ করেন, তার অতীত কঠিন, কিন্তু এই অভিজ্ঞতাই তাকে দৃঢ় করেছে। তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন। এরদোয়ান একজন অসাধারণ নেতা এবং সিরিয়ায় যা ঘটছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট। আমাদের সিরিয়াকে কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ভারসাম্যের ইঙ্গিত
ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া এখন মধ্যপ্রাচ্যের পুনর্গঠনের বড় অংশ হয়ে উঠছে।
আমরা ইসরায়েলের সঙ্গেও কাজ করছি—সিরিয়া ও সবার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে। এবং এটা আশ্চর্যজনকভাবে ভালো কাজ করছে, বলেন ট্রাম্প।
৮০ বছর পর হোয়াইট হাউসে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট
এটি ছিল স্বাধীনতার প্রায় ৮০ বছর পর প্রথমবারের মতো কোনো সিরিয়ান প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউস সফর।
বৈঠকে সিরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, আইএসবিরোধী জোটে সিরিয়ার আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্ভাব্য সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
তবে হোয়াইট হাউস থেকে বৈঠকটির কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি (রিডআউট) প্রকাশ করা হয়নি।
সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে যুক্তরাষ্ট্র
১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পর নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করা সিরিয়ার প্রতি কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ হ্রাসের পদক্ষেপ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে কিছু নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে সৌদি আরবে শারার সঙ্গে এক বৈঠকের পর থেকেই ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
তখন তিনি শারাকে বর্ণনা করেছিলেন, তরুণ, আকর্ষণীয়, কঠোর এবং দৃঢ় অতীতের অধিকারী একজন মানুষ, যা আসাদ পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক থেকে এক নাটকীয় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।





