পরমাণু স্থাপনায় চুক্তি ছাড়া আইএইএকে প্রবেশে অনুমতি নয়: আরাঘচি

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৫ পূর্বাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:২৫ পূর্বাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বোমা হামলার পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর সুনির্দিষ্ট চুক্তি না হলে আইএইএকে সেই স্থাপনায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যেসব স্থাপনা আক্রমণের শিকার হয়েছে, সেগুলোর পরিস্থিতি অন্যরকম। আমাদের, আইএইএ এবং জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে সহযোগিতা সম্ভব নয়।” তবে প্রয়োজনীয় চুক্তির ধরন সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।

আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল

গত জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়, যা পরে ১২ দিনের সংঘাতে রূপ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রও স্বল্প সময়ের জন্য এতে যুক্ত হয়ে তেহরানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এই ঘটনার পর ইরান আইএইএর সঙ্গে চলমান সব সহযোগিতা স্থগিত করে এবং পরিদর্শকদের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

তেহরানের অভিযোগ, আইএইএ এ ঘটনায় পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে এবং ইসরায়েলের হামলার প্রকাশ্য নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। আরাঘচি বলেন, “তারা হামলা চালিয়ে চলে গেছে; এখন আইএইএ এসে সেই ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করবে—এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইরান ও আইএইএ নতুন একটি সহযোগিতা কাঠামোতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতাধীন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের উদ্যোগ নিলে তেহরান সেই সমঝোতাকে বাতিল বলে ঘোষণা করে।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের পরমাণু আলোচনা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে স্থগিত রয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি ইস্যুতে দুই পক্ষের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ইরান দাবি করে আসছে—ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির অধিকার তাদের সার্বভৌম অধিকার। তবে যুদ্ধের পর তেহরান জানিয়েছে, তারা আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত, তবে শর্ত হলো—সব আলোচনাই হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।