শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪
টানা প্রবল বর্ষণ ও ভূমিধসের ফলে এ সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ ও টানা ভূমিধসে দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে পাহাড়ি জেলা বাদুল্লায়। সেখানে পাহাড় ধসে চাপা পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশের জেলা নুয়ারা এলিয়াতে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ বাড়িঘর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে। ১৭টি জেলায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১,১০০-এর বেশি পরিবারকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশজুড়ে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সারা দেশে চলমান বার্ষিক পরীক্ষা দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: হংকংয়ের আবাসিক কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫৫
আটটি পাহাড়ি জেলায় রেড অ্যালার্ট ভূমিধস সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় খাঁড়া ঢাল, পাহাড়ি বসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় উত্তর–পূর্ব মৌসুমি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দ্বীপের পূর্ব দিকে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় বর্ষণ আরও তীব্র হয়েছে। আজ দেশব্যাপী ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ডিএমসি। এছাড়া উত্তর–পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় ২৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত অতিবৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাত্তিকালোয়া জেলায় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গত বছরের জুনের পর এই সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। তখন ভারী বর্ষণে ২৬ জন নিহত হয়। গত ডিসেম্বরেও বন্যা ও ভূমিধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে বন্যা ও আকস্মিক দুর্যোগের হার বাড়ছে।





