কেনেডি সেন্টারের নাম বদল, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাম পরিবর্তনের এই উদ্যোগকে অবৈধ দাবি করে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট পার্টির আইনপ্রণেতা জয়েস বিটি এই মামলাটি করেছেন। তিনি মার্কিন আইনের অধীনে কেনেডি সেন্টারের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের একজন সদস্য। মামলায় তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রটির নাম পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা ছাড়াই বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এটি ফেডারেল আইনের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তালেবান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তার ঢাকা সফর ঘিরে আলোচনা, কৌতুহল
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত বোর্ড সভায় জয়েস বিটি ফোনে যুক্ত হয়েছিলেন। তবে তিনি আপত্তি জানাতে চাইলে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয় এবং তার বক্তব্য রেকর্ডে নেওয়া হয়নি।
এর আগে নাম পরিবর্তনের খবর প্রকাশ হলে কেনেডি পরিবারের সদস্য জো কেনেডি জানান, কেনেডি সেন্টারের নাম ফেডারেল আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং এটি একতরফাভাবে পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: পুতিনের বাসভবনে হামলার অভিযোগ রাশিয়ার, অস্বীকার ইউক্রেনের
গত সপ্তাহে কেনেডি সেন্টারের পরিচালনা পর্ষদ ভোটের মাধ্যমে পারফর্মিং আর্টস কেন্দ্রটির নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রাম্প-কেনেডি সেন্টার’ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সমালোচকদের অভিযোগ, বোর্ডে ট্রাম্পের প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কেনেডি সেন্টারের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনীত ৩৪ জন সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি আইনের মাধ্যমে মনোনীত আরও ২৩ জন সদস্য রয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প কেনেডি সেন্টারের একাধিক বোর্ড সদস্যকে বরখাস্ত করে নিজের ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক মিত্রদের নিয়োগ দেন।
পরবর্তীতে বোর্ড ট্রাম্পকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করে এবং তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেল বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
কেনেডি সেন্টারের নাম পরিবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মামলার রায় এই সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স





