বঙ্গোপসাগর উত্তাল: ঘনীভূত হচ্ছে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ন, ১৯ অগাস্ট ২০২২ | আপডেট: ৭:১২ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২২

লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর থেকে দুবলার চরসহ উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি বইছে। গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরের ভেদাখালী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন।  

উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবারও মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল

এর প্রভাবে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।  

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত থেকেই দুবলার চরে প্রচণ্ড ঝড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত। শুক্রবার ভোর থেকে ঝড়-বৃষ্টি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরের ভেদাখালী খালে ৫৪টি ট্রলার নিরাপদে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, লঘুচাপটি ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, কিন্তু এটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। লঘুচাপে সৃষ্ট মেঘমালায় বৃষ্টিপাত হয়ে এটি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আরও দুই তিন দিন বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

মোংলা বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাত হওয়ায় জাহাজের পণ্যের সুরক্ষায় কাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনি বলেন, কাজ বন্ধ রাখার কোন নির্দেশনা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দেয়নি। কারণ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতে বন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকে না, তবে বিঘ্নিত হয়।  

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আ. ওয়াদুদ তরফদার বলেন, আমরা আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বন্দরের কাজকর্মও চলছে। আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।