সড়ক অবরোধে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ন, ২১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১০:৪৭ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
সড়ক অবরোধে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ছবিঃ সংগৃহীত
সড়ক অবরোধে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকে চলা এই কর্মসূচির ফলে বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষসহ সাধারণ পথচারীরা।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা কুড়িল বিশ্বরোড-বাড্ডা সড়কে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টার দিকে তারা নতুনবাজারে ভাটারা থানার সামনের সড়ক পুরোপুরি অবরোধ করে রাখেন। এতে ওই এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৪০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতেই তারা রাস্তায় নেমেছেন।

তাদের দুই দফা মূল দাবি হলো: আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্তে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। প্রশাসনিক শূন্যতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে হবে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সুলতান বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছি যেন তারা সড়ক ছেড়ে পাশে অবস্থান নেন, যাতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না হয়। তারা জানিয়েছে, কিছু সময় পর অবস্থান তুলে নেবে।”

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে অসন্তোষের জেরে ইউআইইউর উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হয়, তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সরাসরি ক্লাস ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, আন্দোলন দমনে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গত ২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ীভাবে, ১৬ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবিকে দীর্ঘদিন ধরে অবজ্ঞা করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখন তাদের কণ্ঠরোধ করতে বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।