থানাই হোক ন্যায় বিচারের প্রথম ঠিকানা: আইজিপি বাহারুল আলম

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিপিএম, বলেছেন, জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে থানাকে হতে হবে হয়রানিমুক্ত সেবার প্রধান কেন্দ্র। তিনি বলেন, “থানায় এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন সব সময় মানুষের জন্য খোলা থাকে। থানার পরিবেশ হতে হবে সাহচর্যের, আতঙ্কের নয়। থানাই হোক ন্যায় বিচারের প্রথম ঠিকানা।”
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “থানায় হয়রানিমুক্ত ও আইনগত সার্ভিস ডেলিভারি প্রদানের মাধ্যমে জনআস্থা পুনরুদ্ধারে পুলিশের করণীয়” শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর এস. এম. রোকন উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ (ট্রেনিং) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, পিবিআই-এর অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মোঃ ফজলুল করিমসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “আমাদের অতীতের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আমরা অনেক সময় মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি। আমাদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এখন সময় এসেছে মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারের। এজন্য চাই মানবিকতা, জনমুখী সেবা এবং হয়রানিমুক্ত অভিযোগ গ্রহণ ব্যবস্থা।”
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি ছিল ন্যায়, মানবতা ও দায়িত্ববোধের এক জাগরণ। এ জাগরণ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সেবাই আমাদের প্রকৃত পরিচয় এবং জনগণই ক্ষমতার উৎস।”
কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৫৯ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।