রংধনু গ্রুপের মালিক আন্ডা রফিকের বিলাসী হোটেলসহ ৩৩ কোটি টাকা ক্রোক

প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে একটি মানিলন্ডারিং মামলা (গুলশান থানার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ০৭/০৮/২০২৫ খ্রি., ধারা- ৪(২)(৪) মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২) চলমান রয়েছে।
রফিকুল ইসলাম রংধনু বিল্ডার্স এর নামে ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা হতে ৪০০ কোটি টাকা, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বসুন্ধরা শাখা হতে ২৭০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখা হতে ২০০ কোটিসহ আরও বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রতারণা এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে ঋণের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে এবং বিনিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, কোনো দলের পক্ষে নয় যুক্তরাষ্ট্র
তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তে বনানী ১৭ নম্বর রোডে ৬ শতাংশ ২ ছটাক জমির ওপর নির্মিত ৯ তলা ভবনসহ হোটেল ইউনিক রিজেন্সি এবং সমবায় ব্যাংক বাংলাদেশ লি.-এর নিকট জামানত হিসাবে রাখা ৩৩ কোটি ৮১ লক্ষ টাকার সন্ধান পান। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সিআইডি উক্ত হোটেল ক্রোক করে এবং উক্ত অর্থ ফ্রিজ করে। মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অর্থের উৎস অনুসন্ধান, বিদেশে পাচারকৃত সম্পদের সন্ধান ও অপরাপর জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।