আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কয়েদিরাও ভোট দেবেন: নির্বাচন কমিশনার
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকা বন্দিরাও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সেই ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে তিনি ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: একইদিনে নির্বাচন ও গণভোটে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের চিন্তা
নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমরা সারা দেশের প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছি। দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও আমরা আশাবাদী—সবচেয়ে সুষ্ঠু পরিবেশেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।”
তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, আসনবিন্যাস ও পর্যবেক্ষক নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ পুলিশ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের পথ সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে: মির্জা ফখরুল
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, কিছু পুরোনো প্রতীক বাদ দিয়ে নতুন ও সহজবোধ্য প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত।
গণভোট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ বিষয়ে এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব আসেনি। সিদ্ধান্ত হলে জনগণ অবশ্যই তা জানতে পারবে।
প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। আপাতত এ নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে না।





