কারিকুলামের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ন, ০৪ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ৯:০৪ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। আলেম সমাজ পিছিয়ে থাকায় সর্বত্র জালিমরা নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ইসলামবিদ্বেষী এনজিওরা নিরবে বসে নেই। তারা  গবেষণা করে দেখেছে শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে দখল না করলে জাতিকে ধ্বংস করা যাবে না। তাই তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের উপর সওয়ার হয়ে শিক্ষাকারিকুলাম দখল করে শিক্ষাকে বিনাশ করার সর্বগ্রাসী চক্রান্তে মেতে উঠেছে। আলেমদের সজাগ ও সতর্ক হয়ে মিম্বরে ভুমিকা রাখার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রেও তাদের ভুমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় অচিরেই দেশ তুরস্কের পরিণতির দিকে চলে যাবে। তিনি দেশ, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

আজ কুমিল্লার লাকসামের আগমন ফুডপার্কে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সভাপতি মুফতী শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয়  নেতা ও কুমল্লিা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী। সম্মেলনে স্থানীয় বরেণ্য ওলামা মাশায়েখগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: রুকন না হলে চাকরি থাকবে না বলেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি: রিজভী

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে। নতুন কারিকুলাম ১০০% কারিগরী নির্ভর হওয়াই শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে। 

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৯ম শ্রেণীর ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরুপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইচ্ছাকৃত ভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর।  প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের দ্বারা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানেরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।

আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান

অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এবং সেক্রেটারি ডা. শহীদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে দেশের চার ব্যবসায়ী গ্রুপকে নিয়ম লঙ্ঘন করে বড় অঙ্কের সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। একই সাথে সুদ মওকুফ করা জনতা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয়  এস আলম, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এ ননটেক্স গ্রুপকে সুদ মওকুফের সুবিধা দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যে দেশে সামান্য পাঁচ হাজার টাকার ঋণের জন্য একজন হতদরিদ্রের কোমড়ে দড়ি বেঁধে গ্রেফতার করার দৃশ্য গণমাধ্যমে আসে সে দেশে কি করে এসব কোম্পানিকে হাজার হাজার কোটি টাকা মওকুফ করা হয় জাতি তা জানতে চায়। 

নেতৃদ্বয় বলেন, এসব গ্রুপের ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ প্রচলিত আইন অমান্যের শামিল।

সরকারের গ্রীন সিগনাল ছাড়া এ কাজ শুধু ব্যাংক করার সাহস নেই উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় বলেন, অবিলম্বে সুদ মওকুফ বাতিল করতে হবে এবং এর সাথে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।