মতিঝিলে ওএমএস পণ্য কালোবাজারির সময় ডিলারসহ দুজন আটক
ওএমএস এর পণ্য কালোবাজারির সময় ডিলার মালিক সহ দুইজন আটক করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিপুল পরিমাণ ও এম এস এর পণ্য সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রি না করে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিলার আরিফ ও ড্রাইভার আশরাফকে মতিঝিল নটরডেম কলেজের সামনে থেকে আটক করা হয়।
ও এম এস এর পণ্য মতিঝিল এজিবি কলোনির সামনের পয়েন্টে সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বিক্রির কথা। কিন্তু ডিলার আরিফ ৩ঃ১৫ মিনিট সময়ে কালো বাজারির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। দীর্ঘদিন তারা একই কায়দায় এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পন্যভর্তি পিকআপটি ড্রাইভারকে রাস্তার পাশে রাখতে বলেন। নিয়ম আছে ও এম এস এর পণ্য ভর্তি গাড়ি প্রত্যেক পয়েন্টে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত থাকবে। অবিকৃত পন্য ডিলারের গোডাউনে অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে জমা রাখবে। কিন্তু তারা মাল ভর্তি পিক আপটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ডিলার মালিক আরিফ আসলে তিনি বলেন পাঁচটার পরে আমরা মাল জমা দেব। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দেখা যায় নাই।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মগবাজার ও তেজগাঁওয়ে আগুন
কিন্তু অসাধু ডিলাররা বিভিন্ন কৌশলে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক মুনাফার জন্য পণ্য অন্যত্র বিক্রি করে।
এ সময় মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জকে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন এবং এও বলেন, অবৈধ হলেও আমরা এ পন্য আটকাতে পারবো না।
আরও পড়ুন: এবার দুদকের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
অফিসার ইনচার্জ এর সহযোগিতা না পেয়ে সাংবাদিকগণ ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে তারা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পাশাপাশি মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।
পরবর্তীতে ওসি (অপারেশন) এর নেতৃত্বে অবৈধ পণ্যবাহী পিকআপ ও ডিলার আরিফ এবং ড্রাইভার আশরাফকে থানায় নিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরের ওসি অপারেশন সালাউদ্দিন বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য থানায় নিয়ে যাচ্ছি। ওসি স্যার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিবেন।
এ ব্যাপারে ডিলার আরিফ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন বলেন, এই মাল সম্পূর্ণ অবৈধ এটা আমি স্বীকার করি। পুলিশে দিলে কি লাভ হবে। এখন আপনাদের কি করতে হবে ভাই সেটা বলেন।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আমরা চালাটা কিনতে গেলে লাইন ধরায়। আমরা সুশৃংখলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকি ঘন্টার পর ঘন্টা। ডিলাররা ১০-১২ জনের মাঝে পন্য বিক্রি করে ইচ্ছাকৃতভাবে একটা কেওয়াজ বাজায়। একপর্যায়ে আমাদের গালাগালি করে ওরা ট্রাক নিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে কালোবাজারি বন্ধ হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।





