চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতে প্রবেশন অধ্যাদেশের উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

Sanchoy Biswas
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ন, ২৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গত মঙ্গলবার প্রবেশন কার্যালয়, সিএমএম কোর্ট, চট্টগ্রামের উদ্যোগে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে প্রবেশন অধ্যাদেশ ১৯৬০-এর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।

সিএমএম কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নাছিমুল আবেদীন চৌধুরী, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আয়েশা আক্তার সানজি, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোঃ খুরশেদুল আলম, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মুহাম্মদ শাহেদুল হক শাহেদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত উপজেলা সমাজসেবা অফিসারগণ প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

প্রশিক্ষণের শুরুতে সঞ্চালক প্রবেশন অফিসার, সিএমএম কোর্ট মনজুর মোরশেদ চট্টগ্রাম মহানগর অধিক্ষেত্রে আদালতসমূহে গত দুই বছরে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রবেশন অফিসে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২টি প্রবেশন মামলা থাকলেও বর্তমানে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৭টিতে। এজন্য তিনি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান ও অন্যান্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রবেশন অধ্যাদেশ ১৯৬০-এর গুরুত্বপূর্ণ আইনি দিক এবং তার বাস্তব প্রয়োগসমূহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগে আদালতসমূহ প্রবেশন আদেশ কম দিতেও সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের একটি সার্কুলার ও সুপ্রিম কোর্টে মতি মাতবর বনাম রাষ্ট্র মামলার রায়ের পর সারা দেশে প্রবেশন মামলার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি তার বিচারিক জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশন অধ্যাদেশের প্রয়োগ আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রবেশন অফিসসমূহে বাজেট ও জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও বিচারক ও প্রবেশন অফিসারদের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধান প্রশিক্ষকের বক্তব্যে কাজী মিজানুর রহমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশন কার্যক্রমের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে প্রবেশন কার্যক্রম আরো কিভাবে বেগবান করা যায় সে সম্পর্কিত সুপারিশমালা তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল আলম চট্টগ্রামে প্রবেশন কার্যক্রম বেগবান ও দৃশ্যমান করার জন্য চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জানান, চট্টগ্রামের প্রবেশন কার্যক্রম স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবেশন ব্যবস্থায় আরও গতিশীলতা আসবে মর্মে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।