জানাজায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস, গর্ব করে বলতে পারব আমরা খালেদা জিয়ার কর্মী
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবনটাই ছিল লড়াই-সংগ্রামের। মৃত্যুর মুখেও তিনি আপস করেননি। আমরা গর্ব করে বলতে পারব, আমরা খালেদা জিয়ার কর্মী। আজকে আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম থেকে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আসা আবুল কালাম নামে এক যুবক।
শুধু আবুল কালামই নয়, ডিএসসিসি ৬৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল ভূইঁয়া তুহিন ও ৬৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নূর হোসেন নুরু। তাদের মতো অসংখ্য মানুষ এসেছেন আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে, তার জানাজায় শরিক হতে।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসান এর ইন্তেকাল
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ (ভিপি সোহেল) প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বুধবার ভোরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, ১/১১ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের নেত্রীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। দেশ ছেড়ে চলে যেতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেছে, কিন্তু তাকে দেশছাড়া করতে পারেনি। আজকে তার দেশপ্রেম দেখেছে সারা বিশ্ব।
যশোর থেকে এসেছেন কবির খান। তিনি বলেন, আজকে লাখ লাখ নেতাকর্মী আসছে। বেগম জিয়া মানুষের মনে রয়েছেন। চিরদিন তিনি আপসহীন নেত্রী হিসেবে মানুষের অন্তরে থাকবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার
খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সর্বস্তরের মানুষ আজ (বুধবার) ভোর থেকেই জড়ো হচ্ছেন সংসদ ভবন এলাকায়। যারা জানাজায় শরিক হতে এসেছেন, তাদের কারও হাতে দেশ ও দলের পতাকা রয়েছে, আবার কারও হাতে কালো পতাকা রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস রতন বলেন, আমাদের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি মঙ্গলবারই ঢাকায় চলে আসি। তিনি বলেন, সম্মান দেওয়ার মালিক মহান আল্লাহ। আজকে নেত্রীর জানাজায় কম হলেও ৫০ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। এটা শুধু মাত্র নেত্রীর উদারতা এবং দেশপ্রেমের কারণেই হয়েছে।
কঠিন বিপদের মুহূর্তে বেগম জিয়া দেশ ছেড়ে পালাননি। আপোষ না করার কারণে তিনি বারবার কারা নির্যাতন এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তিনি কিন্তু ঠিকই দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। ইতিহাসে দেশ-বিদেশের কোনো নেতার জানাজায় এত লোক সমাগম দেখেনি বিশ্ববাসী। এটাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে অবিচল থাকার ফল।
দীর্ঘদিন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।





