জনতা ব্যাংক পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

Sanchoy Biswas
গোলাম ফারুক, পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ন, ০৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৩:০৭ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীর জনতা ব্যাংক পিএলসি’র পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ কচি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী ও দাশুড়িয়া শাখা থেকে এই পরিমাণ টাকা উত্তোলনের পর তিনি আর তার কর্মস্থলে ফিরে আসেননি। এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী শহর শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মোহছানাতুল হক ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাকশী শাখার ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহ নগদ টাকার জন্য জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী করপোরেট শাখায় আসেন। আগের দিন শনিবার তিনি ব্যাংক ব্যবস্থাপককে টেলিফোনে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রয়োজনের কথা জানান। সংকট থাকায় ৬০-৭০ লাখ টাকা দেওয়া সম্ভব বলে ব্যাংক ব্যবস্থাপক তাকে জানান। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবারও ফোন করে ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার চাহিদার কথা জানান।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

জনতা ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক মোহছানাতুল হক জানান, রবিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ জনতা ব্যাংক দাশুড়িয়া বাজার শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে ঈশ্বরদী করপোরেট শাখা থেকে ১ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। এ সময় আনসার সদস্য মাহবুব তার সঙ্গে ছিলেন।

টাকা গ্রহণ, ভাউচার ও রেজিস্টারে স্বাক্ষর করার পর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লাহ এবং আনসার সদস্য মাহবুব ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা নিয়ে পাকশী শাখার উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেট গাড়িতে রওনা দেন। ওই গাড়ির চালক ছিলেন মো. ইসমাইল হোসেন।

মোহছানাতুল হক আরও জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় পাকশী শাখার সহকারী ম্যানেজার ফোন করে তাকে জানান, খালেদ সাইফুল্লাহ ব্যাংকে আসেননি। টাকাও জমা দেননি। গাড়ি চালকের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

জনতা ব্যাংকের দাশুড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে পাকশী শাখার ম্যানেজার খালেদ সাইফুল্লাহ আমাদের শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ীই টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য মাহবুব জানান, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঈশ্বরদী স্টেশন সড়কে ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে এলে তিনি আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। আমি তার কথা মতো গাড়ি থেকে নেমে যাই।

উধাও ব্যবস্থাপক খালেদ সাইফুল্লাহর স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। বিকেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা বাসায় এসে তার নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান। পরে তাকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।