আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমে ১০.৪৯ শতাংশ

এ বছরের আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর ফলে বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গত জুলাইতে এই হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা
বিবিএসের তথ্য অনুসারে, আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। আগস্টে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জুলাই মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১৪ দশমিক ১০ ও ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এই খাদ্য মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই বিবিএসের মূল্যস্ফীতির তথ্য নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, সরকারি পরিসংখ্যানে মূল্যস্ফীতির যে হিসাব দেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে সেটি আরও বেশি। সরকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
এদিকে গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল বিগত ১৬০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ ২০১১ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ওই সময় ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছিল খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এরপর আর কখনো খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে ওঠেনি।