৪০ বছর পর ইফতেদায়ী শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অনুমোদন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ন, ০৫ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৪:২৭ পূর্বাহ্ন, ০৬ মার্চ ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ ৪০ বছর পর ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষক এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। তাদের এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বুধবার (০৫ মার্চ) তার কর্মদিবসের শেষ দিনে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে আহত মামুনের মাথায় সফলভাবে খুলি প্রতিস্থাপন

বুধবার ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ তার বিদায়ী বক্তব্যে বলেছেন, একই কারিকুলামে পড়াশোনা করিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের চরম বৈষম্য ছিল। সেই বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সদ্য সাবেক এই শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দেশে অনেক ইবতেদায়ি মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অনানুষ্ঠানিক। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মতো তারা বাংলা, ইংরেজি গণিত পড়াচ্ছে। অবকাঠোমো, শিক্ষক থাকার পরও তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তাদের এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। সেই কাজ আমি করে দিয়েছি।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলীয় সংকীর্ণতা পরিহারের আহ্বান ডাকসু ভিপির

ওয়াহিদউদ্দিন আরও বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রায় একই কারিকুলামে পাঠদান করা হয়। কিন্তু সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা শতভাগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও ইবতেদায়ি শিক্ষকরা নামে মাত্র ৩ হাজার টাকার মতো অনুদান পান, এটা চরম বৈষম্য। অথচ আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা অনেক ছাত্র শুধু দেশে নয়, বিদেশেও শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে চাকরি করছেন। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ শিক্ষা ও আলিয়া মাদ্রাসার মধ্যে পার্থক্য দেখি না। যেই বৈষম্য ছিল সেটি দূর করা হবে। এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জট থাকায় একসঙ্গে সবাইকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব না। যেসব মাদ্রাসার নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে সেগুলো প্রথমধাপে এমপিওভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এমপিওভুক্ত করা হবে।