সংবাদ সম্মেলনে এসেনশিয়াল ড্রাগস এমডি
৩৩ ধরনের ওষুধের দাম কমালো, সাশ্রয় ১১৬ কোটি টাকা

অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। এতে সরকারের প্রায় ১১৬ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা। এ সময় গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ জন
সামাদ মৃধা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমানো হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এতে সরকারের ওষুধ ক্রয়ে ১১৬ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে। দাম কমানো ওষুধের মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরস্যালাইন, ইনজেকশনসহ ৯টি ধরন।
এ ছাড়া বর্তমান সরকারের মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদনে গতি আনতে সিন্ডিকেট, দুর্নীতিসহ বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে টিকা ও বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানটির নতুন প্ল্যান্ট স্থাপনের কথাও জানান সামাদ মৃধা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে,চলতি বছরে মৃত্যু ২২৪
তিনি বলেন, আমাদের নতুন দুটি প্ল্যান্ট হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনমুখী বায়োটেক প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টের আওতায় সানতনী পদ্ধতির ওষুধ উৎপাদনের বাইরে গিয়ে ইনসুলিনসহ বায়োলজিক্যাল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর পাশাপাশি লাভজনক অবস্থায় দাঁড় করাতে কাজ চলছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, অপচয় কমিয়ে, সিন্ডিকেট ভেঙে এবং অপ্রয়োজনীয় ৭০০ কর্মচারী ছাঁটাই করে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এ ছাড়া কাঁচামাল কেনায় দরপত্র প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করায় কম খরচে কাঁচামাল কেনা সম্ভব হয়েছে, যা প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
সরকারি ওষুধ উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে টোল ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ করা হবে এবং সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসেনশিয়াল ড্রাগসের কার্যক্রমের বিবরণ দেন। এ সময় অন্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।