ইরানে হিজাব পরিধানে আবার নীতি পুলিশের অভিযান আরম্ভ

ইরানে বাধ্যতামূক হিজাব পরিধানে নতুন অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নৈতিকতা পুলিশ মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ইরানের নারীরা যাতে ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় পোশাকবিধি মেনে চলে এবং চুল ঢেকে রাখে তা নিশ্চিত করতে দেশটির রাস্তায় টহলে ফিরছে নৈতিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৫০, আহত ৫০০
দেশটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই মুখপাত্র রোববার জানান, ইরানের হিজাব আইন প্রয়োগে রাস্তায় রাস্তায় নৈতিক পুলিশের টহল আবারও শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত সফরের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প: নিউইয়র্ক টাইমস
পোশাকবিধি অমান্যের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইরানের রাজধানী তেহরানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা রক্তাক্ত বিক্ষোভের মুখে নৈতিক পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। সেই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর নৈতিক পুলিশ আবারও রাস্তায় নামতে যাচ্ছে।
বিধি মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করে ইরানের নৈতিক পুলিশ। পরে পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে সে সময় রাস্তায় নেমে আসে ইরানের মানুষ। এ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে দমনপীড়ন জোরদার করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। এতে অন্তত ২০০ ইরানি নিহত হয় বলে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে। মানবাধিকার সংগঠনের হিসাবে এ সংখ্যা দ্বিগুণ।
ইরানের শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, ইরানে নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই তাদের চুল ঢেকে রাখতে হবে এবং লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে, যাতে শারীরিক অবয়ব বোঝা না যায়।
নৈতিক পুলিশের মূল কাজ হলো‒ সবাই যাতে এই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে ও মেনে চলে তা নিশ্চিত করা এবং যারা তা করবে না তাদের আটক করা।
ইরানি পুলিশের মুখপাত্র সাঈদ মনতাজেরোলমাহদি বলেন, রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় নৈতিক পুলিশের সদস্যরা প্রথমে যেসব নারী পোশাকবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করবে না তাদের সতর্ক করবেন। এরপরও ওই নারীরা যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়, পুলিশ তখন 'আইনি পদক্ষেপ' নিতে পারে।