জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ০৭ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ৫:১৯ পূর্বাহ্ন, ০৭ অক্টোবর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বন্যা, ঝড়, খরা ও দাবানলের কারণে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু। এ হিসেবে গত বছরে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবে প্রতিদিন ২০ হাজার শিশু বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। সম্প্রতি ইউনিসেফ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর সিএনএন।

বাস্তুচ্যুত হওয়া এ শিশুদের ৯৫ শতাংশই বন্যা ও ঝড়ের কারণে হারিয়েছে বাড়িঘর। বাকিরা পড়েছে খরা ও দাবানলের কবলে।

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন মোদি

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যে কোনো শিশুর জন্য দাবানল, ঝড় বা বন্যার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।’

এই ধরনের প্রতিবেদন এবারই প্রথম প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখন পর্যন্ত, আবহাওয়া-সম্পর্কিত ঘটনায় বাস্তুচ্যুত শিশুরা পরিসংখ্যানে অদৃশ্য ছিল।’

আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য

বৈশ্বিক এ পরিবর্তনে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভুটান জুড়ে ১৫ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২১ সালে টাইফুন রাই ফিলিপাইন, পালাউ ও ভিয়েতনাম জুড়ে একই সংখ্যক শিশু প্রভাবিত হয়।

সামগ্রিক সংখ্যা অনুসারে, বাস্তুচ্যুতির শীর্ষ তিন দেশ হলো ফিলিপাইন, ভারত ও চীন। যেখানে মোট দুই কোটি ৩০ লাখ শিশুকে গত ছয় বছরে বাড়ি-ঘর ছাড়তে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ দেশগুলো বন্যা ও ঝড়ের ঝুঁকিতে থাকে। বর্তমানে জলবায়ু সংকট তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের ঝুঁকি আরো বাড়ছে।

প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার আকারের তুলনায় বাস্তুচ্যুত শিশুদের সংখ্যার দিকে তাকালে একটি ভিন্ন চিত্র উঠে আসে। ছোট ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশ ডমিনিকাতে ২০১৭ সালে হারিকেন মারিয়া আঘাত করে। যার কারণে ছয় বছরে দেশটির মোট শিশুর ৭৬ শতাংশ বাস্তুচ্যূত ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া বন্যার কারণে শিশুদের বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছিল। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের আগাম পদক্ষেপ না থাকায় শিশুরা অনেক বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ে।

খরার কবলে পড়ে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তানে ১৩ লাখের বেশি শিশুকে ছেড়ে যেতে হয়েছে তাদের বাসস্থান ।