ফের চালু হয়েছে হিথ্রো বিমানবন্দর

নিকটবর্তী বিদ্যুৎ স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় গোটা দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার রাত থেকে ফের চালু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর হিথ্রো। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম বিমানবন্দর। শুক্রবার (২১ মার্চ) স্থানীয় সময় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয় দিনভর বন্ধ থাকায় বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের সময়সূচি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টায় সীমিত আকারে বিশ্বের পঞ্চম ব্যস্ততম মানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রায় ৮০টি দেশ থেকে উড়োজাহাজ চলাচল করে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী হিথ্রো দিয়ে যাতায়াত করেন। বছরে শেষে এই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৮ লাখ ৩০ হাজারে। বিমানবন্দরটি বন্ধের কারণে গতকাল ১ হাজার ৩০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। এতে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য
হিথ্রো থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার একজন যাত্রী মুহাম্মদ খলিল রয়টার্সকে জানান, দেশে ফেরার জন্য তিন মাস ধরে পরিকল্পনা করে উড়োজাহাজের টিকিট কিনতে অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট বাতিলের পর বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
এর আগে, লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানায়, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে আগুন লাগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে। এই আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ জন কর্মীকে পাঠানো হয়। পরে সকাল ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, আগুনের কারণে প্রায় ১ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে বেলা ২টার দিকে বিমানবন্দরে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলটদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক দিলো পাকিস্তান
শুক্রবার বিকেলে হিথ্রো বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দরে সীমিত আকারে উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হবে। আগামীকাল (শনিবার) থেকে পুরোদমে উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, যুক্তরাজ্যের জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড জানান, হিথ্রো বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
আপাতত নাশকতার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি জানিয়ে লন্ডন পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটিতে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগুন লাগার পর উপকেন্দ্র এলাকার আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। উপকেন্দ্রটির আশপাশের ভবনগুলো থেকে প্রায় ১৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ফলে আগামী কয়েক দিন একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ভ্রমণশিল্প বিশ্লেষক হেনরি হার্টভেল্ট।