বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা ভারতের নেই বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। যদিও সম্প্রতি বাংলাদেশের দিক থেকে বাণিজ্যিক বার্তা প্রদান খুব একটা ইতিবাচক নয় বলেই মনে করছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়া ২০২০ সালের ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে শুধু ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোর ভিড় কমানোর জন্য।
আরও পড়ুন: গাজা পুনর্গঠন নিয়ে সৌদি আরবের একগুচ্ছ পরিকল্পনা
গত ৮ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয় ভারত। এর এক সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তী সরকার নির্দেশনা জারি করে ভারত থেকে স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে সুতা আমদানি করা যাবে না। আর স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের বিষয়টির পরই টাইমস অব ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জানাল, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না। এছাড়া ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না।
ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে যে রপ্তানি চলে, তা কোনোভাবেই প্রভাবিত হবে না।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের সাবেক রানি সিরিকিত মারা গেছে
সম্প্রতি ব্যাংককে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের বৈঠকে মোদী আহ্বান জানান, যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলা হয় যাতে দুই দেশের সম্পর্কের পরিবেশ নষ্ট না হয়।
তারা আরও দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানির বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে তারা।





