চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সমঝোতায় ট্রাম্প, শুল্ক কমিয়ে ৪৭ শতাংশে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অসাধারণ বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশে আনতে রাজি হয়েছে। বিনিময়ে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন কেনা পুনরায় শুরু করবে, রেয়ার আর্থ খনিজের রপ্তানি অব্যাহত রাখবে, এবং ফেন্টানিলের অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়র্টাস।
আরও পড়ুন: পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প
দক্ষিণ কোরিয়ার বাসান শহরে এশিয়া সফরের শেষ দিনে দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকটি হয়—২০১৯ সালের পর এটি তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়। পরে ট্রাম্প নিজেই শি জিনপিংকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন এবং বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা পান।
ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে সাংবাদিকদের বলেন, এটি এক অসাধারণ বৈঠক ছিল। আমি মনে করি, এটি দুই দেশের জন্যই বড় জয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের ফের বিমান হামলা, যুদ্ধবিরতি আবারও অনিশ্চিত
বৈঠকের প্রভাব ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া
চুক্তির বিস্তারিত ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে শেয়ারমূল্যে ওঠানামা দেখা যায়।
* চীনের সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স ১০ বছরের সর্বোচ্চ থেকে কিছুটা নেমে আসে।
* মার্কিন সয়াবিন ফিউচারস দুর্বল হয়।
* এদিকে এশিয়া ও ইউরোপীয় বাজার লাভ-ক্ষতির মধ্যে দোদুল্যমান থাকে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যযুদ্ধর অবসানের আশায় বৈঠকের আগে থেকেই ওয়াল স্ট্রিট থেকে টোকিও পর্যন্ত বাজারে রেকর্ড উত্থান দেখা গিয়েছিল। এই যুদ্ধে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল এবং ব্যবসায়িক আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
নতুন বাণিজ্য কাঠামো ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
গত রবিবার মার্কিন আলোচকরা জানান, একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি তৈরি হয়েছে যা চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক এড়াবে এবং চীনের রেয়ার আর্থ রপ্তানি সীমাবদ্ধতার স্থগিতাদেশ নিশ্চিত করবে।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় দেশই অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ফলে এই নতুন বাণিজ্যিক মীমাংসা কতদিন টিকে থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।





