গাজায় হামলা চলছেই, ত্রাণের ৭৫ শতাংশই আটকে রেখেছে ইসরায়েল
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ ও বাণিজ্যিক মালামাল প্রবেশের কথা থাকলেও, বাস্তবে এর মাত্র ২৫ শতাংশ গাজায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে দেশে ফিরলেন ৫ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থী
এক বিবৃতিতে গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তর জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ৩,২০৩টি ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা দৈনিক গড়ে প্রায় ১৪৫টি ট্রাক। এই পরিমাণকে তারা গাজাবাসীর মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ২৪ লক্ষাধিক মানুষের খাদ্য, পানি, ওষুধ ও জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংকট প্রতিদিন গুরুতর আকার ধারণ করছে।
আরও পড়ুন: ইরানের প্রতি নীতির পরিবর্তন জরুরি: আরব রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
গাজা কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়— ইসরায়েলের আরোপিত বাধা অপসারণ করে ত্রাণ প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করার জন্য চাপ বৃদ্ধি করতে।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, ইসরায়েলের নির্দেশে ত্রাণ পরিবহনের পথ ফিলাডেলফি করিডর হয়ে সংকীর্ণ উপকূলীয় সড়কে ঘুরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ও অতিরিক্ত ভিড়পূর্ণ। ফলে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম আরও জটিল হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বিমান, ট্যাংক ও আর্টিলারি বাহিনী শনিবার খান ইউনিস ও জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের আশপাশে নতুন করে হামলা চালিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত অন্তত ২২২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস নিহত ইসরায়েলি বন্দিদের সব দেহ ফিরিয়ে দেয়নি, তাই তারা সীমিত সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
হামাসের বক্তব্য, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মৃতদেহ উদ্ধার ও শনাক্তকরণ জটিল হয়ে পড়েছে, তাছাড়া ধ্বংসাবশেষ সরাতে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শুক্রবার রাতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি তিনটি মৃতদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে, তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, এই দেহগুলো নিখোঁজ ইসরায়েলি বন্দিদের তালিকার সঙ্গে মিলেনি।





