বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের নতুন সামরিক ঘাঁটি চালু

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ন, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৩ অপরাহ্ন, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে। একই সঙ্গে অসমের ধুবরিতেও নতুন একটি সামরিক স্টেশন গঠনের কাজ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় নবনির্মিত ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন, যা ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছেই অবস্থিত।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ড এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি, ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার, চোপড়া ডিফেন্স ল্যান্ডে ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসের মোতায়েন সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এবং দ্রুত সময়ে ঘাঁটিটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের উৎসাহ, পেশাদারিত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি সর্বোচ্চ অপারেশনাল প্রস্তুতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

পোস্টে আরও বলা হয়, তিনি চোপড়া আসনের এমএলএ হামিদুল রহমান এবং স্থানীয় বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। সামরিক ও বেসামরিক সহযোগিতা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে—এ বিষয়ে জেনারেল তিওয়ারি গুরুত্ব আরোপ করেন।

আরও পড়ুন: ইতিহাসের সবচেয়ে গরম বছরগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ২০২৫

এরপর লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসামের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪ (গজরাজ) কর্পস পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁওয়ে ‘লাচিত বরফুকন মিলিটারি স্টেশন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ইস্টার্ন কমান্ড জানায় আহোম সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি সেনানায়ক লাচিত বরফুকনের নামে নামকরণ করা এই নতুন ঘাঁটি আসামের বীরত্ব, নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার প্রতীক। এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সেনাপ্রধান সফরকালে সীমান্ত অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং চলমান ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন।

এই উদ্যোগকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও কৌশলগত প্রস্তুতি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সূত্র: ডেকান ক্রনিকেলের প্রতিবেদন