বিদ্যুৎহীন লাখো মানুষ

ভিয়েতনামে টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যু ৪১

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ২১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। সপ্তাহজুড়ে অবিরাম বৃষ্টিপাতে দেশটির মধ্যাঞ্চলের একাধিক প্রদেশ প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত পানিবন্দি পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন, যাদের সন্ধানে উদ্ধারকর্মীরা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে—এ তথ্য জানিয়েছে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর জানায়, অব্যাহত বর্ষণে প্রায় ৫২ হাজার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচ লাখ বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। গত তিন দিনে কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দেড় মিটার ছাড়িয়েছে, যা ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ বন্যার রেকর্ডের খুব কাছাকাছি।

আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল

সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক পর্যটন নগরী হোই আন এবং উপকূলীয় শহর না চাং উল্লেখযোগ্য। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ভিয়েতনাম একের পর এক টাইফুন—কালমেগি ও বুয়ালয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার প্রভাব কাটার আগেই আবারও নতুন করে বিপর্যয়ের মুখে দেশটি।

সরকারি হিসাবে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, বহু মানুষ ঘরের ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। লাম ডং প্রদেশে একটি ঝুলন্ত সেতু প্রবল স্রোতে ভেসে যায়। ওই অঞ্চলে ভূমিধসে প্রধান সড়ক ও মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো থেকে লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ উদ্ধারকাজে মাঠে রয়েছে।

না চাংয়ের এক রেস্তোরাঁ মালিক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, তার দোকানপাট প্রায় এক মিটার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। “সবকিছু ডুবে আছে, কিছুই রক্ষা করতে পারলাম না,”—বলেন তিনি।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, অন্তত রবিবার পর্যন্ত ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।