২০২৬-কে প্রথম স্বাগত জানাল যেসব দেশ

Sanchoy Biswas
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:২৮ অপরাহ্ন, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২৬ সালকে স্বাগত জানায়। দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ একেবারে প্রাকৃতিক ও নিস্তব্ধ পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করেন, কোনো কৃত্রিম আলো বা স্যাটেলাইট সংকেত ছাড়াই।

এরপরই নিউজিল্যান্ডসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো বর্ণাঢ্য আতশবাজি ও আলোর মিছিলে নতুন বছর উদযাপন করে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিরিবাতির পর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে স্কাই টাওয়ার থেকে ছিটকে পড়া রঙিন আতশবাজিতে রাতের আকাশ আলোকিত হয়। গ্রিনিচ মান সময় বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই উৎসবে সামোয়া, টোঙ্গা ও টোকেলাউও অংশ নেন।

আরও পড়ুন: ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

নিউজিল্যান্ডের চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ৬০০ বাসিন্দাও বছরের প্রথম প্রহরে উৎসবে মেতে ওঠেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওয়ানাকা শহর ছিল কিউইদের মূল উদযাপন কেন্দ্র। সেখানে আয়োজিত ‘রিদম অ্যান্ড আল্পস’ উৎসবে হাজার হাজার মানুষ সংগীতের ছন্দে নতুন বছরকে আলিঙ্গন করেন। উৎসবের আয়োজক হ্যারি গোরিঞ্জ জানান, সংগীতের মাধ্যমে বছর শুরু করা মানেই সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে চলার প্রতিশ্রুতি নেওয়া।

নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের বার ও হোটেলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নতুন বছর উদযাপনে তাদের কর্মীরা ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেবেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তালেবান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তার ঢাকা সফর ঘিরে আলোচনা, কৌতুহল

একদিকে ওশেনিয়ার এই বর্ণিল শুরু, অন্যদিকে ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোও তাদের নিজস্ব রঙে ২০২৬ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এখন নতুন বছরের আনন্দ ও আগামীর প্রত্যাশার আবহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।