প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় পরিবর্তন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার নতুন ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ জারি করেছে। এতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৮০% নারী ও পোষ্য কোটার প্রথা বাতিল করা হয়েছে। বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ৯৩ শতাংশ সহকারী শিক্ষক পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষকের ৮০ শতাংশ পদে সহকারী শিক্ষকরা পদোন্নতির সুযোগ পাবেন (আগে ছিল ৬৫ শতাংশ)। বাকি ২০ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ হবে।
আরও পড়ুন: প্রতি বছর ইনক্রিমেন্টসহ চাকরি দিচ্ছে বে গ্রুপে
বিধিমালায় এবার শরীরিক শিক্ষা ও সঙ্গীত বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ পদে মেধাভিত্তিক নিয়োগের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের এবং ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে পূরণ হবে।
আরও পড়ুন: আকর্ষণীয় বেতনে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চাকরি
নির্দিষ্ট কোটার মধ্যে রয়েছে: ৫ শতাংশ পদ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য, ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য।
কোটা অনুযায়ী প্রার্থী না থাকলে মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ থাকলে প্রার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। শিক্ষক নিয়োগ উপজেলা ও থানাভিত্তিক হবে।