হাইকোর্ট

দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী, এখন ভোট স্থগিতের সময় নয়

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ন, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২২ অপরাহ্ন, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী—এ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার সময় নয়। তাই এই ধরনের রিট গ্রহণযোগ্য নয়।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন, “আদালতের মনোভাব বুঝতে পেরে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রিটটি নট প্রেস করেছি। এই রিট আর চালাব না।”

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা এবং ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন বৈধ: আপিল বিভাগ

রিটে বলা হয়—নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হলেও বিভিন্ন সময়ে তা নির্বাহী বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সংবিধানবিরোধী, নির্বাহী বিভাগ সরকারের প্রতিনিধি হওয়ায় তাদের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

রিটে আরও দাবি করা হয়, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ডিসিদের দিয়ে নির্বাচন করালে আবারও প্রভাবিত নির্বাচন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কার্যকরভাবে নির্বাচনী দায়িত্বে যুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।”