মোখার গতিবেগ দ্রুত বাড়ছে, কমছে দূরত্ব

বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র গতিবেগ দ্রুতই বাড়ছে। উপকূলের সঙ্গে ‘মোখা’র দূরত্ব কমছে। ফলে আজ শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে এর অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবার (১৩ মে) মধ্যরাতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৩-তে এ তথ্য দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সীমানা পুনর্নির্ধারণে ৮৩ আসন নিয়ে ইসিতে জমা ১,৭৬০ আবেদন
আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেন।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গত মধ্যরাতে (১২ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন আইন উপদেষ্টা
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। এজন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মোখা’র কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে হয়েছে। তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, এটি আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে (রোববার) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ১৩ মে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।