কাজে ও শিক্ষায় নেই দেশের ৩৯ শতাংশ তরুণ

পড়াশোনা করে না, কাজ করে না, এমনকি কোনো কাজের জন্য প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না এমন নিষ্ক্রিয় তরুণ বাংলাদেশে প্রায় ৩৯ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই- এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০.৬৭ শতাংশ) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে।
রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ১৭ লাখ বেড়ে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে ৩১ লাখ বেশি নারী।
এর আগে, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ সালের আদম শুমারি ভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ নেই: ড. ইউনূস
বিবিএসর বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার বিন্যাস মধ্যে- ০-৪ বছর বয়সী ১০.২২ শতাংশ, ৫-১৪ বছর বয়সী ১৮.৫৬ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সী ১৮.৬৭ শতাংশ, ২৫-৩৯ বছর বয়সী ২২.২৮ শতাংশ, ৪০-৪৯ বছর বয়সী ১১.৮৭ শতাংশ, ৫০-৫৯ বছর বয়সী ৮.৯৩ শতাংশ, ৬০-৬৪ বছর বয়সী ৩.৩৩ শতাংশ এবং ৬৫+ বছর বয়সী ৬.১৪ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে ১৫ বছরের বেশি বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ।
এছাড়া ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ। আর দেশে এখন নারী খানাপ্রধানের হার ১৮.৯ শতাংশ, একবছর আগেও যা ছিল ১৭.৪ শতাংশ। এছাড়া প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ হাজার ১৭১ জন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।