পাচার করা অর্থ ফেরাতে দ্রুত হচ্ছে বিশেষ আইন: প্রেস সচিব

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৭ অপরাহ্ন, ১০ মার্চ ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম । ছবিঃ সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম । ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পাচারকৃত অর্থ কীভাবে দেশে ফেরানো যায়, তা ত্বরান্বিত করতে খুব শিগগিরই একটি বিশেষ আইন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা এই আইনটি দেখতে পাবেন।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন

প্রেস সচিব বলেন, ‘পাচারকৃত টাকা উদ্ধারের জন্য শুরু থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সক্রিয় ছিল। প্রফেসর ইউনূস শুরু থেকেই বলে আসছেন যে এটি বাংলাদেশের মানুষের টাকা। এটি আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল কীভাবে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা যায়। এ লক্ষ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘টাকা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়ে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। এ বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও টাস্কফোর্স বিভিন্ন ল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে এই আইনটি সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে ২০০টি ল ফার্মের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, তবে এখনো চূড়ান্ত নির্বাচন হয়নি। একটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে, যেখানে প্রায় ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়। এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং করা হবে, বলেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলম বলেন, কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, তা জানাটা জরুরি। আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তা আরও বিশদভাবে জানার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনা করতে যায়। একটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, টিউশন ফি হিসেবে প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে, যা মানি লন্ডারিংয়ের অংশ হতে পারে।

ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।