মেয়েকে স্কুল থেকে নিতে এসে নিখোঁজ লামিয়া, ফেসবুকে মিলল পোড়া এনআইডি

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন লামিয়া আক্তার সোনিয়া নামে এক নারী। দুপুরে তিনি তার খালাতো বোনের মেয়ে আসমাউল হোসনা জাইরাকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ মিলছে না।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মাইলস্টোন স্কুলের সামনের মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন লামিয়ার ভাগ্নি সাথী আক্তার। তিনি জানান, “আমার খালা লামিয়া দুপুরে আমার মেয়েকে স্কুল থেকে নিতে গিয়েছিলেন। পরে আর তাঁর কোনো সন্ধান পাইনি। মেয়ে জাইরাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিরাপদে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।”
আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল
সাথী আক্তার আরও জানান, “একজনের ফেসবুক পোস্টে লামিয়া খালার পোড়া একটি এনআইডি কার্ডের ছবি দেখতে পাই। এরপর আমরা সব হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু কোথাও তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ।”
লামিয়ার স্বামী আলমগীর হোসেন বলেন, “ঢাকার সব হাসপাতাল, মরদেহ শনাক্ত কেন্দ্রে খোঁজ করেছি। এখনও খোঁজ মেলেনি। আমাদের মনে হচ্ছে তিনি হয়তো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। তবে এখনো আশা ছাড়ছি না।”
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে স্কুলের সামনে এবং আশপাশে ভিড় করছেন অনেক অভিভাবক ও স্বজন। কেউ কেউ মোবাইলে স্বজনের ছবি দেখিয়ে সাহায্য চাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে।
একইভাবে নিখোঁজ আছেন মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে আফিয়া। তার বাবা আবদুল কাদির এবং মা তানিয়া আক্তার। আফিয়ার খোঁজে আজ সন্ধ্যায় স্কুল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তার চাচি শম্পা আক্তার। তিনি বলেন, “আফিয়ার ক্লাস শেষ হয় দুপুর ১টায়। এরপর সে স্কুলেই কোচিং করত। কেউ তাকে নিতে আসেনি তখন। দুর্ঘটনার পর থেকে বহু জায়গায় খোঁজ নিয়েছি, এখনো পাইনি।”
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ ও তদন্ত এখনো চলছে।