ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ন, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:০০ অপরাহ্ন, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অধিবেশনের ফাঁকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি ভারত-বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ড. ইউনূস বৈঠকে ভারতের সমালোচনা করে বলেছেন, গত বছর বাংলাদেশের তরুণদের মাধ্যমে সংঘটিত বিপ্লবকে ভারত সঠিকভাবে গ্রহণ করেনি। এই কারণেই দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

তিনি আরও বলেন, ভারতীয় মিডিয়াগুলোর ছড়ানো ভুয়া খবর পরিস্থিতি আরও কঠিন করেছে। বিশেষ করে ভারতের পক্ষ থেকে প্রচারিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের তরুণদের গত বছরের আন্দোলন একটি ইসলামি আন্দোলন ছিল। এছাড়া, সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়াও সম্পর্কের উত্তেজনার অন্যতম কারণ। ড. ইউনূসের মতে, শেখ হাসিনা সমস্যার সৃষ্টি করছেন এবং ভারতের আশ্রয় এ উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

বৈঠকে তিনি সার্ক জোট পুনর্জীবিত করার গুরুত্বেও জোর দিয়েছেন। তবে ভারতীয় আচরণের কারণে সার্ক কার্যকরভাবে কাজ করছে না। ড. ইউনূস আরও বলেন, ভারতের পদক্ষেপের কারণে সার্কের কার্যক্রম স্থবির রয়েছে এবং এ কারণে এশিয়ার আরেক জোট আসিয়ানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তী সম্মেলন ২০১৬ সালে হওয়ার কথা থাকলেও উরিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নিতে অস্বীকার করে। এরপর এই জোট প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।

ড. ইউনূসের মতে, ভারত বর্তমানে সার্কের সদস্য হলেও তারা পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে বিমসটেক জোটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সর্বশেষ বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্যে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক প্রভাব নিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ উঠে এসেছে।