চাকসুতে ব্যাতিক্রমি প্রচারণায় শহীদ আব্দুর রব হলের তামজীদ রাহাত

Any Akter
মো: সাবিত বিন নাছিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৫ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ ও তীব্র আগ্রহ। বিভিন্ন সক্রিয় ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও, যা নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। 

আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচনে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

পাশাপাশি দেখা মিলছে সৃজনশীলতার। বিভিন্ন আকৃতির লিফলেট নজর কাড়ছে ভোটারদের। যা চাকসু নির্বাচনকে আরো উৎসবমুখর করে তুলছে। এই ব্যাতিক্রমি লিফলেট বানানোর প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে নেই শহীদ আব্দুর রব হলেও।  শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রচেষ্টা। পোস্টার-ব্যানারে সেজেছে হল প্রাঙ্গণ, মুখরিত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে আলোচনায়।

এবারের শহীদ আবদুর রব হল সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তামজিদ রাহাত জয়। তিনি স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে নির্বাহী সদস্য পদে (ব্যালট নং–০২) প্রার্থী হয়েছেন।নজর কেড়েছেন আইফোন সদৃশ লিফলেট ছাপিয়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রত্যাশা তুলে ধরে জয় বলেন, “দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। আমি আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যা সমাধানে পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়েই প্রার্থী হয়েছি। নিজে একজন আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হলে আসন বরাদ্দের পূর্বে অনাবাসিক ভাইদের যে দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে দেখি, তা থেকেই তাদের মুক্তির অঙ্গীকার নিয়েই আমার ইশতেহার প্রকাশ করেছি।”

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

তিনি আরও বলেন, “খাদ্য, আবাসন, যানবাহন, ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ আমার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মূল বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানগত জটিলতা ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় শিক্ষার্থীরা যেসব সমস্যায় পড়ছেন, তার সমাধানে আমি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চাই। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সবসময় পাশে থাকব।”

তামজিদ রাহাত জয় মনে করেন, দীর্ঘদিনের দলীয় রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তিনি চান, চাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে উঠুক এবং সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতি ফিরে আসুক।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় প্রশাসনের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন যেন আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।