বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম বা ভল্ট ভেঙে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে গত ২৮ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভল্টটিতে মোট ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে ১৪টি উদ্ধার করা গেলেও সাতটি অস্ত্র নিখোঁজ রয়েছে। চুরি যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল ‘এম ফোর কার্বাইন’ এবং ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। তবে এসব অস্ত্র কোনো সরকারি বাহিনীর কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি নেই

শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্বে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জামাল হোসেন জিডিটি করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল, বিমানের জিএম (কার্গো) নজমুল হুদা, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ফিরোজ রব্বানী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক ইফতেখারসহ অন্যদের উপস্থিতিতে মালামালের তালিকা করা হয়। এরপর এসব মালামাল ভল্টে রেখে শিকল ও তালা দিয়ে সিলগালা করা হয়।

আরও পড়ুন: এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক বরাদ্দ দিল নির্বাচন কমিশন

তবে ২৭ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডিএমপি ও আনসার সদস্যরা সিল অক্ষত দেখতে পান। কিন্তু পরদিন সকাল ৭টার দিকে ডিউটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান ভল্টের তালা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভল্টের দরজায় কোনো তালা লাগানো নেই।

বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার বলেন, “আমরা জিডির তদন্ত করছি। অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না এবং কারা জড়িত— তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”

এদিকে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “অস্ত্র আদৌ চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। যদি চুরি প্রমাণিত হয়, তবে দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি পণ্য রাখার কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২৭ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ওই ঘটনার পর থেকেই কেপিআইভুক্ত এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

এবার ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির অভিযোগ সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে আবারও সামনে এনেছে।