আইইপিএমপি বাতিল ও জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প বন্ধের দাবি তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ন, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাতিল এবং সব নতুন জীবাশ্ম জ্বালানি–ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি উঠেছে তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ–২০২৫ থেকে। সমাবেশের বক্তারা বলেন, বর্তমান পরিকল্পনা বাংলাদেশের উপর আমদানিনির্ভর কয়লা ও এলএনজি নির্ভরতা বাড়াচ্ছে, যা জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী সমাবেশের সমাপনী দিনে পরিবেশ সুরক্ষা ও জনগণের অধিকার বিষয়ক ৮ দফা খসড়া ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। সমাবেশে উপকূল, হাওর, চর ও বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলে, কৃষক, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, নারী, যুব, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীসহ মোট ১,৯৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: হাদিকে দুপুরে সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে

সমাপনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা উপস্থাপন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, আইইপিএমপি ও মহেশখালী–মাতারবাড়ী উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জলবায়ু বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি আরও বলেন, ব্যয়বহুল কয়লা ও এলএনজি নির্ভরতার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টের বোঝা বেড়েছে এবং বিদ্যমান চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় জনগণের অর্থ অপচয় হচ্ছে।

ঘোষণাপত্রে সব নতুন জীবাশ্ম জ্বালানি–ভিত্তিক প্রকল্প বন্ধ, আইইপিএমপি ও এমআইডিআই মাস্টারপ্ল্যান বাতিল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে দ্রুত রূপান্তরের দাবি জানানো হয়েছে। এতে সৌর বিদ্যুৎ, ব্যাটারি সংরক্ষণ, স্মার্ট গ্রিডে বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন অনুদান হিসেবে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: হাদিকে গুলি: আদালতে যা বললেন হান্নান

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা উল্লেখ করেন, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর উন্নয়ন ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে নদীভাঙন, লবণাক্ততা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে। আয়োজকেরা জানান, এই ৮ দফা জনগণঘোষণা সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হবে এবং এটি জ্বালানি খাতে ন্যায়ভিত্তিক ও জনগণকেন্দ্রিক রূপান্তরের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।