শেখ হাসিনার ১৭ বছরের সকল অপকর্মের বিচার করতে হবে : জিলানী

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ন, ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ বাংলাবাজার পত্রিকা
ছবিঃ বাংলাবাজার পত্রিকা

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বিগত ১৭ বছর শেখ হাসিনা যে অপকর্ম করেছে সেগুলোর এখনও মামলা হয় নাই, এই বৈষম্য করা যাবে না। তার সকল অপকর্মের বিচার করতে হবে। 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিল বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ ১৭ বছর ভোট দিতে পারে নাই, সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। দাবি ছিল বাংলাদেশের মানুষ পথে-প্রান্তরে মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারবে কিন্তুুু সেই কথা বলার অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান

শুক্রবার বিকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদার হাট এলাকায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের  সমন্বয়ে  জেলা ভিত্তিক সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিকনির্দেশনা মূলক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এস এম জিলানী বলেন, অধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য দীর্ঘ ১৭ টি বছর আপনাদের নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছি কিন্তুুু আপনারা দেখেছেন সেই লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপরে কি পরিমাণে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। একের পর এক মামলা দেওয়া হয়েছে, দিনের পর দিন কারাগারে রুদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি চৌধুরী আলম ও ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ৬শ উপরের বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। শেখ হাসিনা আয়না ঘরে গুম করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।আমরা দেখিছি যখনই কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি এসেছে, বাংলাদেশের গণমানুষের ন্যায় সংগত আন্দোলন সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে করেছি, তখনই কেউ ঘরে ঘুমাতে পারে নাই। কেউ নদীর চরে, কেউ গোয়াল ঘরে, কেউ হাসপাতালের বারান্দায় রাত কাটিয়েছে। সেখান থেকে এসে আবার রাজপথে আন্দোলন করেছে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। তারপরও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের শত নির্যাতনের পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা হিমালয়ের অসীম সাহস নিয়ে রাজপথে দাড়িয়েছেন ও প্রতিবাদ করেছেন।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

তিনি আরো বলেন, দেড় মাস হয়ে গেছে পতিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছে। গত দুই দিন আগে দেখছি নোয়াখালীর এক গডফাদারকে র‍্যাব গ্রেফতার করেছে। ওনার অবস্থা দেখে মনে হলো উনি কতো দিন খান নাই, ওনাকে দেখে মায়া লেগেছে। কিন্তুুু আমরা এই নোয়াখালী মাটিতে দেখেছি বিএনপি নেতাকর্মী যখন কারাগারে গিয়েছে  উনি নিজে গিয়ে জেলারকে বলছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের ডান্ডাবেড়ি পড়াতে হবে। কিন্তুু এখনো আমরা এ কাজটা করি নাই। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার নামে মামলা হচ্ছে, পালিয়ে যাওয়ার আগে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে তিনি হুকুম দিয়ে হত্যা করার অভিযোগে। প্রায় ১৪শ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছেন, ২১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করেছে। তারা এখন বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এগুলো ব্যাপারে শেখ হাসিনার মামলা হয়েছে। কিন্তু দেড় যুগ জনসাধারণের উপর যে অত্যাচার চালিয়েছে তার বিচারও এ মাটিতে করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মো:রাসেল খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাবের আহামদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:জহিরুল ইসলাম তারেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।